বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তিনজনই নারী। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন মানুষ হলেন আমার মা, স্ত্রী এবং কন্যা… তিনজন অসাধারণ নারী। আমি সবসময় তাদের জন্য প্রতিটি সম্ভাবনা, সাফল্য এবং সুখ নিশ্চিত করতে চেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে, আপনারা যারা এটি পড়ছেন তাদের অনেকেই একই অনুভূতি লালন করেন।’
এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর তৎকালীন সরকারের নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে সুচিকিৎসার জন্য লন্ডন যান তারেক রহমান। সঙ্গে নেন স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও মেয়ের জায়মা রহমানকে।
দীর্ঘ দেড় যুগের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সরকারের নির্যাতনের শিকার হন তার মা বেগম খালেদা জিয়াও। সুচিকিৎসা না পেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন। চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনিও লন্ডনে যান এবং বর্তমানে ছেলের বাসায় আছেন।
পোস্টে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের তরুণী এবং নারীরা চারপাশের মানুষের মাধ্যমে ক্ষমতায়িত এবং সমর্থন পাওয়ার অধিকার রাখেন। প্রতিটি নারীরই যেকোনো পুরুষের মতো একই মর্যাদা, সুরক্ষা এবং সুযোগ উপভোগ করা উচিত।’
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমি আবারও নিশ্চিত করছি যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত পূর্ববর্তী বিএনপি সরকারের মতো আমরা একটি ন্যায়সংগত, সহনশীল এবং সম্মানজনক সমাজ তৈরির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করব। যেখানে লিঙ্গ, বর্ণ বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য থাকবে না।
নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, আমাদের মেয়েদেরও আমাদের ছেলেদের মতো সমান সুযোগ থাকা উচিত। তাদের ঘর ছেড়ে বাইরে আসতে হবে, তারা যেন কোনো হয়রানি ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে এবং কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই নিজেদের মতপ্রকাশ করতে পারে।
তারেক রহমান পোস্টে উল্লেখ করেন, একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত সমাজে নারীর সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্যেই বিএনপির নীতি প্রণয়ন গভীরভাবে প্রোথিত। আমাদের ‘পরিবার কার্ড’ কর্মসূচি, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, তরুণীদের শিক্ষিত করার জন্য শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক প্রকল্পের মতো উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আসুন আমরা একসঙ্গে চ্যাম্পিয়ন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাই।